ক্ষতিকর যানবাহন !
প্রতিক্ষণ ডেস্ক
যাতায়াতের সহায়তার জন্যই যানবহনের সৃষ্টি৷ যাতায়াতের এই উপকারি মাধ্যমটি কিন্তু ক্ষতিও করছে। প্রতিক্ষণের পাঠকদের জন্য আজ থাকছে যোগাযোগের কোন মাধ্যমটি কতটা ক্ষতিকর তার বর্ণণা।
গাড়ি ভয়ংকর
পৃথিবীতে প্রায় ১০০ কোটি গাড়ি আছে৷ এ সব গাড়ি পরিবেশের কতটা ক্ষতি করে, তা বুঝতে শুধু একটা গাড়ির ক্ষতি সম্পর্কে ধারণা নেয়াই যথেষ্ট৷ একটা গাড়ি গড়ে প্রতি কিলোমিটারে ৪৮ গ্রাম পিএম১০ কণা এবং ৩০ গ্রাম কার্বন ডাই-অক্সাইড নিঃসরণ করে৷ একশ’ কোটি গাড়ির ক্ষতিটা এবার অনুমান করে নিন৷
পরিবেশের জন্য বিমান সত্যিই দানবের মতো৷ একটি বিমান এক কিলোমিটার চললে বাতাসে ৩৫০ গ্রাম কার্বন ডাই-অক্সাইড ছাড়ে৷ অবশ্য আধুনিক বিজ্ঞান জ্বালানি তেলের ওপর নির্ভরতা কমিয়ে দূষণের মাত্রা কমানোরও উপায় বের করছে৷
সিএনজি চালিত বাস পরিবেশের জন্য তুলনামূলকভাবে কম ক্ষতিকর৷ কিন্তু বাংলাদেশ, ভারত, পাকিস্তানের মতো অনেক দেশেই এখনো পেট্রোল বা ডিজেল চালিত বাস চলছে৷ ডিজেলচালিত বাস খুব ক্ষতিকর৷ এ ধরণের বাস প্রতি কিলোমিটারে ৪ গ্রাম কার্বন ডাই-অক্সাইড, ৫ গ্রাম পিএম ১০ এবং ১০ গ্রাম সালফার ডাই-অক্সাইড বাতাসে ছাড়ে৷
ইলেকট্রিক ট্রেনগুলো আসলে সেরকমই৷ তবে ডিজেল বা কয়লার ইঞ্জিনের ব্যাপারটি অবশ্য সম্পূর্ণ বিপরীত৷ এ কারণেই পরিবেশের ক্ষতি এড়ানোসহ আরো কিছু বিষয়ের বিবেচনায় আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় ইলেকট্রিক ট্রেনের কদর দিনদিন বাড়ছে৷
অপরিসর রাস্তা এবং জানযট বেশি বলে এশিয়া অঞ্চলে মোটর সাইকেল এখনো খুব জনপ্রিয়৷ এ সব বাহনের মন্দের ভালো দিক হলো, এগুলো পরিবেশের জন্য অনেক কম ক্ষতিকর৷
সব যানবাহনের মধ্যে সবচেয়ে ভালো আসলে বাইসাইকেল৷ দু’চাকার এই যান বেশি জায়গা নেয় না, পরিবেশেরও কোনো ক্ষতি করে না৷ সাইকেল চালাতে তেল, গ্যাস কিছুই তো লাগে না, পরিবেশের ক্ষতি হবে কেন? এ কারণেই এক সময় চীনকে বলা হতো ‘সাইকেলের দেশ’৷ চীনে সাইকেল কমেনি৷ আরো আশার কথা – জার্মানি, নেদারল্যান্ডস এবং এমন অনেক দেশেই সাইকেলের কদর বাড়ছে৷
প্রতিক্ষণ/এডি/এনজে